স্টাফ রিপোর্টার : মাদক আছে গাড়িতে! পুলিশের পাশাপাশী সাংবাদিকদের খবর দিলো আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা সহ মাদক ব্যবসায়ীরা। রহস্যঘেরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল ছুঠে যান সময়ের বার্তার সাংবাদিকসহ বেশ কিছু পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরাও।
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সারসি এলাকার ভাঙ্গারপুল নামক স্থানে ফরচুন সুজ কোম্পানির শ্রমিকদের কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ী গতিরোধ করে আটক করা হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাউনিয়ার বিতর্কিত সেই যুবদলের ক্যাডার ও নর্ব আওয়ামীলীগ নেতা মাউচ্ছা সোহাগ, সোহাগের ভাগ্নে সবুজ ও কাশিপুরের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী সাহেদ মৃধা সহ ৫০/৬০ জন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী সাহেদ মৃধা ও ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতাকর্মীদের দাবী গাড়ীতে বিপুল পরিমান মাদক ছিল। মাদকগুলো ফরচুন সুজ কোম্পানির মালিক মিজানুর রহমানের। মাদক ব্যবসায়ী সাহেদ মৃধা বলেন, মিজানুর রহমান র্দীঘ ৭ বছর যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছেন।
মিজানুর রহমানকে চেনেন কিনা ও ইতিপূর্বে প্রশাসনকে এবিষয় কেন জানানো হয়নি? এমন প্রশ্নে সদুত্তর দিতে পারেননি সাহেদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফরচুন সুজ কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা একটি চর্ক্র মাদক ব্যবসার নাটক সাজিয়েছেন।
মিজানুর রহমান দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী মিজানের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র কখনোই কর্ম নয়। যারা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে, যে কোন সময় আরো বড় ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারেন মিজানুর রহমান।
যার ফলে বেকার হতে পারে প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের কাজে ব্যবহৃত বাসের চালক সোহেল সময়ের বার্তাকে জানান, গাড়ীর ভিতরে কে বা কারা মাদক রেখেছেন তিনি কিছুই জানেন না। তবে এটা ষড়যন্ত্র করেই গাড়ীতে মাদক রাখা হয়েছে।
ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের লোকজন গাড়ী গতিরোধ করে পুলিশকে খবর দেন। এয়ারপোর্ট থানার এসআই বারেক সময়ের বার্তাকে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে, ফরচুন সুজ কোম্পানির শ্রমিকের কাজে ব্যবহৃত বাসে তল্লাশি চালিয়ে ৭ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। তবে ইয়াবা কারো সাথে পাওয়া যায়নি।
তবে গাড়ী ও গাড়ীর চালক সোহেলকে সন্দেজনক ভাবে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে। ফরচুন সুজ কোম্পানির চেয়ারম্যানর মিজানুর রহমান সময়ের বার্তাকে বলেন, পূর্ব থেকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র কাজে লিপ্ত থাকা চক্রটি মাদকের মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করে তিনি আরো বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযত তদন্ত করলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।