ভুয়া সাটিফির্কেট দিয়ে স্ত্রীর পাশাপাশী একাধিক ব্যক্তিকে চাকরীর অবৈধ তদবির-বাণিজ্য করে কোটিপতি স্যালাইন শাখার স্টোরকিপার হারুন অর রশিদ। অবৈধ বাণিজ্য করে গড়েছেন নামে বেনামে গাড়ী-বাড়ী সহ বিশাল সম্পত্তির পাহাড়। তবুও ধরা ছোঁয়ার বাইরে হারুন।
সর্বশেষ গত ২ বছর পূর্বে বরিশাল স্যালাইন শাখায় মাস্টার রোলে চাকরী দেয়ার কথা বলে শরীফ ফিরোজ আহমেদ নামে এক যুবকের কাছ থেকে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেন বরিশাল স্যালাইন শাখার স্টোর কিপার মো: হারুন অর রশিদ। গত বছরের নভেম্বরে মাস্টার রোলে ফিরোজকে নিয়োগ না দিয়ে, ইলিয়াস কাঞ্চন নামে একজন যুবককে নিয়োগ দেয়া হলে, বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বরিশাল খাবার স্যালাইন অফিসের স্টোর কিপার মো: হারুন অর রশিদের স্ত্রী ১০বছর পূর্বে এস এস সি পাশের সাটিফির্কেটের বয়স বেশী হওয়ায় ৮ম শ্রেণী পাশের ভুয়া সাটির্ফিকেট তৈরী করে স্ত্রী সুইটি বেগমকে একই প্রতিষ্ঠানের কনটিজেন্সি উৎপাদন কর্মী পদে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার সহযোগিতা করেন।
গত বছরের পহৈলা নভেম্বর ইলিয়াছ কাঞ্চন (রুবেল) ও সিরাজুল ইসলাম তুহিন নামে দুই যুবকের কাছ থেকে চার লাখ করে মোট আট লাখ টাকার বিনিময় বরিশাল খাবার স্যালাইন অফিসে মাস্টার রোলে চাকরী পাইয়ে দেন। ৮ম শ্রেণীর ভূয়া সাটিফিকেট দিয়ে খাবার স্যালাইন অফিসে নিয়োগ পাওয়া ইলিয়াস কাঞ্চননগরীর পশ্চিম বগুড়া কাজীপাড়ার বাসীন্দা মো: মোবারক আলী হাওলাদারের ছেলে।
কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বই এর তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, বরিশাল কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা হতে ২০০১-২০০২ শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী ২০০৩ সালে ২.৫০ নম্বর পেয়ে এস এস সি পাশ করেন। যার রোল নং-৪০৩০১৩, রেজি নং-৭৬১২০৬।
এস এস সি‘র সাটিফিকেটের জন্ম দিন উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৮৮ সালের জুন মাসের ৬ তারিখ। সে অনুযায়ী নিয়োগের দিন পর্যন্ত ইলিয়াসের বয়স ৩২ বছর ৫মাসের অধিক। বরিশাল খাবার স্যালাইন অফিস সূত্রে জানাযায়, স্টোর কিপার মো: হারুন অর রশিদ খাবার স্যালাইন অফিসে চাকরী দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
এনিয়ে প্রায়ই অফিসে জটলা সৃষ্টি হয়। এছাড়া অফিসের বিভিন্ন খাত থেকে নামে-ব্যানামে ভূয়া ভাউচার বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন হারুন। হারুন স্টোর কিপার হলেও অদৃর্শ ক্ষমতার ছত্রছায়ায় নানা অপর্কম চালিয়ে আসছেন। যার কারনে কেউ মূখখোলতে সাহস পাচ্ছেনা।
উত্তেজিত কন্ঠে স্টোর কিপার হারুন অর রশিদ সময়ের বার্তাকে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয় তিনি মন্তব্য করতে নারাজ। বরিশাল খাবার স্যালাইন শাখায় দায়ীত্বরত কর্মকর্তা ম্যানেজার মো: শহীদুল ইসলাম শাহিন বলেন, বরিশাল অফিসের কারো হাতে চাকরী দেয়ার ক্ষমতা নেই।
নিয়োগ নিতে হলে ঢাকায় তাদের প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়োগ আনতে হয়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই প্রধান কার্যালয়ের কাজ। এবিষয় তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে নিয়োগ বানিজ্যর সাথে কারো যোগসাজে থাকালে তদন্ত করা প্রয়োজন।