এম. লোকমান হোসাঈন ॥ রেকর্ড কিপার মজিবর রহমানের প্রকাশ্যে ঘুষ বানিজ্য। অকপর্টে স্বীকারও করলেন তিনি। মজিবর রহমান বলেন, দ্রুত কাগজ নিতে হলে একটু খরচ দিতে হবেই। এই অর্থের একটি অংশ উপরের চেয়ারকেও দিতে হচ্ছে মজিবরের। রেকর্ড কিপার মজিবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মজিবরকে ফাইল প্রতি অর্থ না দিলে মাসের পর মাস হিমাগারে আটকে থাকে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন কাগজপত্র।
জমির মালিকরা বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত অর্থ দিয়েই নিচ্ছেন কাগজপত্র। বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের হালচাল নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব। মফেজখানা শাখার (রেকর্ড রুম) অফিস সহায়ক আলাউদ্দিনকে সাবেক জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান ৩ মাস পূর্বে নেজারত শাখায় বদলী করার পরেও একই কর্মস্থলে আছেন আলাউদ্দিন। বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেড়িয়ে পরে থলের বিড়াল। মূলত আলাউদ্দিন মফেজখানা শাখার (রেকর্ড রুম) এর রেকর্ড কিপার মজিবর রহমানের দালাল হিসাবে কাজ করছেন।
সাটির্ফিকেট মামলা। মৃত্যু সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন কাগজপত্র উত্তোলন বাবদ সরকারী নির্দেশের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে যোগ্য অফিস সহায়ক আলাউদ্দিন। যার ফলে আলাউদ্দিনকে ছাড়তে নারাজ রেকর্ড কিপার মজিবর রহমান। মজিবর রহমান বলছেন, ‘আলাউদ্দিন অনেক অভিজ্ঞ!
এজন্যই তাকে রাখা হয়েছে। তবে দ্রুত ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় দেয়া হবে।’ আলাউদ্দিনেরও একই সুর! আলাউদ্দিন বলছেন, ‘মানুষকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এর বেশী কিছু নয়।’ তবে ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানান আলউদ্দিন। বরিশাল জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার মুঠোফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। পরবর্তিতে খুদে বার্তা পাঠানোর পরেও কোন বক্তব্য না পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসকের।